লেখকঃ মিজানুর রহমান আজহারী |
ভবিষ্যতের কোন কথা কিংবা কাজের পূর্বে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা— ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় রীতি যা আল্লাহ তা’আলা নিজেই শিখিয়েছেন। কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন:
“তোমাদের কোন ইচ্ছা বাস্তবে রূপ নিবে না, যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।’’ [সূরা আত-তাকভির : ২৯]
মুমিন তার জীবনের প্রতিটি কাজেই আল্লাহকে স্মরণ করবে। সে নির্ভর করবে একমাত্র আল্লাহর উপর, নিজের শক্তি-সামর্থ্য ও অন্যান্য উপায়-উপকরণের ওপর নয়। তাইতো মুমিন ভবিষ্যতের কোনো কাজের কথা বলতে গিয়ে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলে। ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দের অর্থ- যদি আল্লাহ চান। অর্থাৎ যদি আল্লাহ চান তাহলে আমি অমুক কাজটি করব বা অমুক কাজটি হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক এটিকেট বা আদব।
কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তা’আলা নিজেই ইনশাআল্লাহ বলেছেন:
“প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাঁর রসূলকে সত্য স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন- যা ছিল সরাসরি হক্ব। ইনশাআল্লাহ তোমরা পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে।” [সূরা আল- ফাতহ: ২৭]
পাশাপাশি তাঁর প্রিয় হাবিবকেও ভবিষ্যতের কোন কাজের আগে ইনশাআল্লাহ বলার নির্দেশনা দিয়েছেন:
“ইনশাআল্লাহ বলা ব্যতিরেকে, কোনো জিনিসের ব্যাপারে কখনো একথা বলো না যে, আমি আগামীকাল এ কাজটি করবো৷ যদি ভুলে এমন কথা মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সাথে সাথেই নিজের রবকে স্মরণ করো এবং বলো, আশা করা যায়, আমার রব এ ব্যাপারে সত্যের নিকটতর কথার দিকে আমাকে পথ দেখিয়ে দেবেন৷” [সূরা আল-কাহাফ: ২৩-২৪]
ইনশাআল্লাহ বলার মাধ্যমে বান্দার বিনয়, আকুতি এবং আল্লাহ তা’আলার উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল প্রকাশ পায়। ভবিষ্যতের কোনো কাজের ইচ্ছা পোষণের ক্ষেত্রে, আল্লাহর নাম নেয়া থেকে বিরত থাকলে বান্দার ঔদ্ধত্য-অহংকার প্রকাশ পায়। যা তার কাজটাকে বরকতহীন বানিয়ে দেয়। তাই আমাদের উচিত— ভবিষ্যতের যে কোন কাজের আগে ইনশাআল্লাহ বলার অভ্যাস করা এবং আমাদের শিশুকিশোরদের এই কুরআনিক এটিকেটে অভ্যস্ত করে তোলা।
জ/১