অনলাইন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (ই-কমার্স) ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সম্পদের চেয়ে ৬ গুণের বেশি এই ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছেন, কোম্পানিটি প্রতি ১ টাকা আয়ের জন্য ৩ টাকা ৫৭ পয়সা বিক্রয় ব্যয় করেছে বলে স্টেটমেন্টে দেখিয়েছে এবং এই অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারিনি বলে জানিয়েছেন। লোকসানে পণ্য বিক্রি করার কারণে ইভ্যালি গ্রাহক থেকে অগ্রিম মূল্য নেওয়ার পরও মার্চেন্টদের কাছে তাদের বকেয়া অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টের বকেয়া ক্রমাগত বাড়ার কারণে এক সময় বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওনা অর্থ না পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে এবং এর ফলে সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করেছেন।
এদিকে রাসেল মনে করেন, লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করায় ঘটতি হয়েছে প্রায় ৪০৩ কোটি। তবে এই ঘাটতি শূন্যতে আনতে তাদের ২০২৪ সাল লাগতে পারে।
তিনি আরো জানান, আমরা উক্ত লোকসান কমাতে প্রায়োরিটি স্টোরস বিক্রি শুরু করেছি। সেখান থেকে প্রফিট হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। এবং বলেন গতমাসে ১০ কোটি টাকা বিক্রি হয়েছে। সেই সাথে ধীরে ধীরে ডিসকাউন্ট কমানো হবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে মার্চেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া মার্জিন ও প্রাইরোটি স্টোরস বিক্রি থেকে প্রফিট বাড়বে বলে আশা করেছেন। এভাবে ধীরে ধীরে লোকসান কমতে কমতে ২০২২ সাল গিয়ে তাদের আর লস হবে না বলে ধারণা করেছেন। এবং ২০২৪ সালের মধ্যেই লোকসান শূন্যতে আসবে বলে দাবী করেছেন।